আর্টিকেল: এই কথা এখন প্রায় সবাই জানেন। চুম্বনে ক্যালরি খরচ হয়। যদিও ট্রেডমিলে দৌড়ানোর মতো অত দ্রুত নয়, মিনিটে দুই থেকে ছয় ক্যালরি কমে। তবে এই চুম্বন হতে হবে যুগলদের মতো স্থায়ী।
শুধু ক্যালরি খরচই নয়, দেহের সুস্থতাও রক্ষা করতে পারে চুম্বন। আর এই চুম্বন নিয়ে বিশ্বে নির্মিত হয়েছে অসংখ্য গান, কবিতা ও গল্প। কয়েকটি গবেষণার বরাত দিয়ে স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে চুম্বনের উপকারী দিকগুলো দেওয়া হলো।
মানসিক প্রশান্তি: যুক্তরাষ্ট্রের পেনসালভেনিয়ার ‘লাফাইয়েত কলেজ’য়ের করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, চুম্বনের সময় শরীরে ‘অক্সিটোসিন’, ‘ডোপামিন’ এবং ‘এন্ডোরফিনস’ নামক হরমোন নিঃসৃত হয়। যা মন মেজাজ শান্ত করে, দেয় ভালোবাসায় সিক্ত হওয়ার অনুভূতি। মাত্র ২০ সেকেন্ডের চুম্বনই এই হরমোনগুলো নিঃসরণের জন্য যথেষ্ট।
হৃদযন্ত্রের সুস্থতা: কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ কমাতে কার্যকর চুম্বন। হৃদরোগের পেছনে দায়ী বিষয়গুলোর মধ্যে মানসিক চাপ অন্যতম। তাই রক্তচাপ কমানোর মাধ্যমে চুম্বন হৃদরোগকে দূরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আয়ু বাড়ায়: বলা হয়, যেসকল দম্পতি নিয়মিত চুম্বন আদান-প্রদান করেন, তারা অন্যদের তুলনায় পাঁচ বছর বেশি বাঁচেন। চুম্বনের কারণে রক্তে নিঃসৃত উপকারী হরমোনই এই আয়ু বাড়ার কারণ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে: ‘মেডিকেল হাইপোথিসিস’ শীর্ষক এক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, ‘সাইটোমেগালোভাইরাস’য়ের বিরুদ্ধে নারীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় চুম্বন।
প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস ক্ষতিকর নয়। তবে গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে এটি গর্ভের সন্তানের জন্মগত বিকলাঙ্গতার কারণ হতে পারে। চুম্বনের সময় যুগলদের মধ্যে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার আদান-প্রদান ঘটে, যা দুজনের শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।